কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো | কোন দেশে বেতন বেশি ২০২৫
আপনারা যারা ২০২৫ সালে বিদেশে কর্মসংস্থানের সন্ধানে রয়েছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো – কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো ২০২৫ সালে? এই বিস্তারিত আর্টিকেলে আমি আপনাকে দিচ্ছি সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা।
বিভিন্ন সেক্টরের চাহিদা, টেকসই ক্যারিয়ার পথ এবং আর্থিক সুবিধা অনুযায়ী কোন দেশে যাওয়া ভালো- এসব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো ২০২৫ সালে, কোন দেশে কাজের বেতন বেশি, প্রবাসীদের জন্য কোন দেশ ভালো, কোন দেশগুলো আপনার জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন আজকের এই আলোচনায়।
কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো ২০২৫
চলুন দেখে নেওয়া যাক সেরা ৫ টি দেশ নিয়ে, যেখানে কাজের জন্য যাওয়ার কথা আপনি ও হয়তো ভাবছেন। চলুন দেখি, কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো। এবং কেন এই দেশগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
১. মালয়েশিয়া
- কাজের ধরন: ফ্যাক্টরি, কৃষিকাজ, রেস্টুরেন্ট
- মালয়েশিয়া কাজের বেতন: RM 1,500–1,800 → প্রায় ৳৩৮,০০০ – ৳৪৫,০০০
- মালয়েশিয়া ভিসা খরচ: আনুমানিক ৳১.৫ – ২ লাখ (এজেন্সি ও প্রসেসিং সহ)
- মাসিক খরচ: খাবার + বাসা মিলিয়ে প্রায় ৳৮,০০০ – ১২,০০০
- বিশেষ সুবিধা: ওভারটাইমে আয় আরও বাড়ে, খরচ কম বলে সঞ্চয় ভালো হয়
২. সৌদি আরব
- কাজের ধরন: নির্মাণ, হোটেল, হাউসকিপিং, ড্রাইভিং
- সৌদি আরব কাজের বেতন: SAR 1,000–1,500 → প্রায় ৳৩০,০০০ – ৳৪৫,০০০
- সৌদি ভিসা খরচ: আনুমানিক ৳১ – ১.৫ লাখ
- মাসিক খরচ: অনেক সময় কোম্পানি থাকা-খাবার ফ্রি দেয়
- বিশেষ সুবিধা: সঞ্চয়ের সুযোগ বেশি, হালাল পরিবেশ, বড় বাংলাদেশি কমিউনিটি
৩. ওমান
- কাজের ধরন: ইলেকট্রিশিয়ান, মিস্ত্রি, ড্রাইভার, হোটেল স্টাফ
- ওমানে কাজের বেতন: OMR 120–220 → প্রায় ৳৪০,০০০ – ৳৭৫,০০০
- ওমান ভিসা খরচ: আনুমানিক ৳১.৫ – ২ লাখ
- মাসিক খরচ: খাবার ও থাকা মিলিয়ে ৳৮,০০০ – ১২,০০০
- বিশেষ সুবিধা: বেতন ভালো, নিরাপদ দেশ, কাজের পরিবেশ ভালো
৪. কাতার
- কাজের ধরন: সিকিউরিটি গার্ড, নির্মাণ, গাড়িচালক
- কাতারে কাজের বেতন: QAR 1,200–2,000 → প্রায় ৳৪০,০০০ – ৳৬৮,০০০
- কাতার ভিসা খরচ: আনুমানিক ৳১.৫ – ২ লাখ
- মাসিক খরচ: কোম্পানি অনেক সময় থাকা-খাওয়া দেয়
- বিশেষ সুবিধা: বেশি কোম্পানি থাকা-খাবার ফ্রি দেয়, কাজের পরিবেশ আধুনিক
আরও পড়ুন: ভিসা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত আরও পোস্ট
৫. রুমানিয়া (Romania – ইউরোপ)
- কাজের ধরন: ফ্যাক্টরি, কৃষিকাজ, নির্মাণ
- রুমানিয়া কাজের বেতন: €500–800 → প্রায় ৳৬০,০০০ – ৳১,০০,০০০
- রুমানিয়া ভিসা খরচ: আনুমানিক ৳২ – ৩ লাখ
- মাসিক খরচ: থাকা-খাবার সহ প্রায় ৳১৫,০০০ – ২০,০০০
- বিশেষ সুবিধা: ইউরোপে পা রাখার ভালো সুযোগ, দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হওয়া সম্ভব
যদি কম খরচে বিদেশ যেতে চান এবং ভালো বেতন পান তাহলে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব বা ওমান সবচেয়ে ভালো। যদি ইউরোপ যেতে চান এবং ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে রুমানিয়া ভালো শুরু হতে পারে।
কোন দেশে কাজের বেতন বেশি
বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে ভালো বেতনের কাজের সুযোগ পাওয়া যায় ও কোন দেশে কাজের বেতন বেশি পাওয়া যায় এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
১. সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই): ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, এসি মেকানিক, হোটেল স্টাফ ও সিকিউরিটি গার্ডদের প্রচুর চাহিদা আছে। কাজের অভিজ্ঞতা ও ভালো কোম্পানি পেলে মাসে ৮০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।ওভারটাইমসহ আরও বেশি।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন ও সকল আপডেট
২. সৌদি আরব: বাংলাদেশিরা এখানে কনস্ট্রাকশন, সুপার শপ, হাউজকিপিং, হেলপার, ড্রাইভিং ও টেকনিক্যাল কাজে বেশি জব পান। গড় বেতন ৭০,০০০–১,২০,০০০ টাকা, ওভারটাইম ও বোনাস থাকলে আরও বাড়তে পারে।

৩. কাতার: নিরাপত্তা গার্ড, নির্মাণ শ্রমিক, মেইন্টেনেন্স, ক্লিনিং ও ডেলিভারি খাতে বাংলাদেশিদের ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মাসে ৮০,০০০–১,৩০,০০০ টাকা আয় করা যায়।
৪. মালয়েশিয়া: ফ্যাক্টরি, কৃষি, হোটেল ও কনস্ট্রাকশনে বাংলাদেশিদের চাহিদা বেশি। বৈধভাবে গেলে মাসে ৭০,০০০–১,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। থাকা-খাওয়া অনেক সময় কোম্পানি দেয়।
৫. দক্ষিণ কোরিয়া: EPS (Employment Permit System) এর মাধ্যমে ফ্যাক্টরি ও কৃষিখাতে বৈধভাবে কাজ করা যায়। মাসে ১,৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা আয় সম্ভব, ওভারটাইমে আরও বেশি হয়। কোরিয়ান ভাষা জানতে হয় (TOPIK Pass করতে হয়)।
৬. জাপান: TITP (Technical Intern Training Program) ও Specified Skilled Worker (SSW) প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাক্টরি, নার্সিং, কৃষি ও হোটেল খাতে কাজের সুযোগ আছে। মাসিক আয় ১,২০,০০০–১,৮০,০০০ টাকা, থাকা-খাওয়া অনেক সময় কোম্পানি দেয়। জাপানিজ ভাষা JLPT N4/N5 জানা বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া সহজ
বিদেশ যাওয়ার কথা ভাবলেই অনেকের কাছে ভিসার জটিলতাটা একটা বড় চিন্তা। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যাওয়া ভালো ও সহজ।
১. মালদ্বীপ
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য এই সুন্দর দ্বীপরাষ্ট্রে ভ্রমণ বেশ সুবিধাজনক। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপ বিমানবন্দরে ৩০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান করে।
এর জন্য আগে থেকে ভিসার আবেদন করার প্রয়োজন হয় না, সরাসরি ভিসা-অন-অ্যারাইভাল। মালদ্বীপ ইমিগ্রেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ট্রাভেলার ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম অনলাইনে পূরণ করে রাখলে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? পাসপোর্ট করার নিয়ম
২. শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কান ভিসা পাওয়াটা খুবই ঝামেলামুক্ত! শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের জন্য এখন আপনাকে দূতাবাসে দৌড়াতে হবে না। ওদের সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই মাত্র ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন বা ই-ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
শ্রীলঙ্কা যাওয়ার খরচ কত?
৩০ দিনের এই ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৫০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫,৫০০ টাকার মতো। আর আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণত অনুমোদন পেয়ে যায়।
৩. ভুটান
আপনাদের মধ্যে যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাদের জন্য ভুটান হতে পারে অসাধারণ এক গন্তব্য। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা পারো বিমানবন্দর বা ফুন্টশোলিং স্থলবন্দরের মতো নির্দিষ্ট এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছানোর পর সাধারণত ১৫ দিনের জন্য প্রবেশ অনুমতি বা পারমিট পেয়ে যান। এর জন্য আগে থেকে ভিসার জটিলতায় যেতে হয় না।
ভুটান যেহেতু আমাদের প্রতিবেশী, তাই ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েও আপনি ফুন্টশোলিং হয়ে ভুটানে প্রবেশ করতে পারেন।
৪. নেপাল
নেপালে প্রবেশের পর কাঠমান্ডু বিমানবন্দর বা বিরগঞ্জ, কাকারভিটার মতো স্থলবন্দরে আপনারা সহজেই অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পাবেন। এখানে ১৫ দিনের জন্য ৩০ ডলার এবং ৩০ দিনের জন্য ৫০ ডলার ফি লাগে।
ঢাকা থেকে বিমানে মাত্র পৌনে দুই ঘণ্টার মধ্যেই কাঠমান্ডু পৌঁছানো যায়। এছাড়া যারা সড়কপথে যেতে চান, তারা কাকারভিটা সীমান্ত দিয়েও সহজে প্রবেশ করতে পারেন। নেপালি ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার অনেক মিল আছে, তাই নেপালে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে বা যোগাযোগ করতে খুব একটা সমস্যা হয় না।
বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বিদেশ ঘোরার ইচ্ছেটা অনেকেরই থাকে, কিন্তু বাজেট নিয়ে ভাবনা চলে আসে প্রায়ই। চলুন বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায় সেটি দেখে নেওয়া যাক।
১. ভারত
আপনারা যারা প্রতিবেশী দেশে ঘুরতে যেতে চান, তাদের জন্য ভারত সবসময়ই পছন্দের তালিকায় থাকে।
ভারতের ভিসা খরচ কত?
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতের মূল ভিসা ফি লাগে না। শুধু প্রক্রিয়াকরণ বাবদ প্রায় ৮০০ টাকা খরচ হয়।
ঢাকা থেকে কলকাতা/দিল্লি প্লেনের টিকেট আসা-যাওয়ায় ১৫,০০০-২০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। ট্রেনে খুলনা থেকে কলকাতা আরও কম, মাত্র ৫০০-১,০০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে | ভিসা আবেদনের নিয়ম
২. থাইল্যান্ড
আপনাদের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেকেই রয়েছেন যারা সমুদ্র সৈকত আর জমজমাট জীবন ভালোবাসেন, থাইল্যান্ড তাদের জন্য দারুণ জায়গা।
থাইল্যান্ড ভিসা খরচ ও কাগজপত্র
থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য এখন অনলাইনে আবেদন করা যায়। ভিসার ফি সাধারণত ৪,০০০-৪,৫০০ টাকার মতো হয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ ই-ভিসার জন্য আপনার পাসপোর্ট ও হোটেল বুকিং নিশ্চিত করা জরুরি কিছু কাগজপত্রের মধ্যে পড়ে। ফ্লাইটের খরচঃ ঢাকা থেকে ব্যাংকক প্লেনে আসা-যাওয়ায় সিজন অনুযায়ী খরচ ৩০,০০০-৪০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
৩. মালয়েশিয়া
আপনি যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ঘোরার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে বলি আপনার জন্য মালয়েশিয়া এক দারুণ জায়গা, বিশেষ করে যদি খরচ বাঁচাতে চান।
মালয়েশিয়া ভিসা ফি কত?
মালয়েশিয়ান হাই কমিশন জানিয়েছে ভিসার খরচ মাত্র ৬০০ টাকা। এটা সত্যি অবিশ্বাস্য রকমের কম। ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর প্লেনের টিকিট সাধারণত ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। ই-ভিসা প্রক্রিয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাওয়াটা আমাদের ভ্রমণকারীদের জন্য বিশাল সুবিধা।
৪. ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া, বৈচিত্র্যময় দ্বীপপুঞ্জের এক দেশ। চলুন জেনে নিই ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য।
ইন্দোনেশিয়া ভিসা খরচ কত?
ইন্দোনেশিয়ান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট অনুযায়ী ই-ভিসার খরচ প্রায় ১২,০০০ টাকা। আমার মনে হয় মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের চেয়ে এটা একটু বেশিই। ঢাকা থেকে জাকার্তা প্লেনে আসা-যাওয়ায় সিজন অনুযায়ী আপনাদের ৫০,০০০ থেকে ৬৫,০০০ টাকা লাগতে পারে।
৫. ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম হলো এমন এক দেশ, যেখানে ইতিহাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসাথে মিশে গেছে।
ভিয়েতনামের ভিসা খরচ কত?
ভিয়েতনাম সরকার সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য ভিসা ফি ঘোষণা করেছে ২,৭৫০ টাকা। এটা আমার কাছে বেশ যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। ঢাকা থেকে হ্যানয় প্লেনে আসা-যাওয়ায় আপনাদের প্রায় ৪৫,০০০-৬০,০০০ টাকা লাগতে পারে।
২০২৩ সালের ফাইন্যান্স মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী, ই-ভিসা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। এটা সত্যি দারুণ খবর।
প্রবাসীদের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো
চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রবাসীদের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো।
১. সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো: এই দেশে কাজের সুযোগ অনেক এবং জীবনযাত্রার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। তবে, সেখানে ভাড়ার খরচ এবং খাবারের দাম একটু বেশি হতে পারে, তবে আয়ের সুযোগ বেশি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
২. অস্ট্রিয়া: ইউরোপের একেবারে কেন্দ্রে ছোট্ট একটি দেশ অস্ট্রিয়া, বিশেষ করে তার রাজধানী ভিয়েনা। সংস্কৃতি, ইতিহাস আর প্রকৃতির এক দারুণ মিশ্রণ এখানে, যা মনকে শান্তি এনে দেয়। কেন প্রবাসীদের জন্য এটি এত ভালো, চলুন দেখি।
৩. জাপান: জাপান, বিশেষ করে টোকিও শহরটা সবার কাছেই সবসময়ই এক বিস্ময়! উচ্চপ্রযুক্তি, কঠোর শৃঙ্খলা আর প্রাচীন সংস্কৃতির দারুণ এক মিশ্রণ এখানে। কেন এই দেশটি প্রবাসীদের জন্য এত আকর্ষণীয়, চলুন দেখি।
৪. নেদারল্যান্ডস: নেদারল্যান্ডস এর সাথে আপনারা সবাই কমবেশি পরিচিত। অত্যাধুনিক শহর ব্যবস্থাপনার জন্য এটি খুব বিখ্যাত। যারা নতুন কিছু খুঁজতে চান, তাদের জন্য এই দেশটা অনেক প্রাণবন্ত।
এখানকার স্বাস্থ্যসেবা বেশ উন্নত, আর জীবনযাত্রার ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে কম, যা খুব স্বস্তিদায়ক। এখানকার মানুষজন খুব অতিথিপরায়ণ, বিদেশিদের সহজে আপন করে নেয়।
FAQ
৫ লাখ টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
৫ লাখ টাকায় বেশ কিছু দেশে ভিসা, টিকিট, হোটেল ও অন্যান্য খরচসহ ৭-১০ দিনের জন্য সহজে ভ্রমণ করা যায়। যেমন- ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
১৯-২০ বছর বয়সে কোন কোন দেশে কাজের জন্য যাওয়া যায়?
১৯-২০ বছর বয়সে কাজের জন্য সহজে যাওয়া যায় এমন বেশ কিছু দেশ রয়েছে। যেমন: দুবাই, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, কুয়েত, ওমান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও কিছু ইউরোপীয় দেশে (যেমন পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি)। এই দেশগুলোতে হেলপার, ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার, রেস্টুরেন্ট বা টেকনিক্যাল কাজের সুযোগ রয়েছে।
আমি যদি বেশি পড়ালেখা না করে থাকি, তাহলে কোন দেশে সহজে কাজ পাব?
আপনি যদি খুব বেশি পড়ালেখা না করে থাকেন, তবুও মালয়েশিয়া, রোমানিয়া আর কাতারে হোটেল, গার্মেন্টস বা নির্মাণ কাজের মতো সোজা কাজে ভালো সুযোগ পেতে পারেন।
কিভাবে বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবো?
যারা বিদেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে থাকতে চান, তাদের জন্য কানাডা, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া অনেক ভালো। এই দেশগুলোতে কাজের পর PR বা Permanent Resident (স্থায়ী বাসিন্দা) হওয়ার সুযোগ আছে।
ইউরোপে যাওয়ার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিব?
আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান, তাহলে ভাষা শেখা, স্কিল সার্টিফিকেট নেওয়া আর ভালো কোনও বিশ্বস্ত এজেন্সির সাহায্য নেওয়া খুব দরকার।
তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কাজের জন্য কোন দেশে যাওয়া ভালো, কোনদেশে কাজের বেতন বেশি – ইত্যাদি সকল বিষয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সহজে সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন!