অনলাইনে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ২০২৫

বর্তমানে অনেকে বিভিন্ন ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করছে। এর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকের কাছেই অনলাইনে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় উপায়। তো এই ব্লগটিতে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায়, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম,

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

তো চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্টটি।

সূচিপত্র

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? – What is Affiliate marketing?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি জনপ্রিয় অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে কোনো একটি কোম্পানি তার বিভিন্ন পণ্য প্রচার করার জন্য অন্য কোনো কোম্পানি, ব্যক্তি অথবা ব্র্যান্ডের সাহায্য নেয়। এবং যাদের সাহায্য নেয় অর্থাৎ যারা এই প্রচারের কাজে নিয়োজিত থাকে তারা পণ্য সেল করার মাধ্যমে কমিশন পায়।

সহজ ভাবে বলতে গেলে, মনে করুন, আমার একটা কোম্পানি আছে। এবং আমার কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। আপনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে আমার পণ্যের প্রচার করছেন এবং মানুষ আপনার সেই প্রচার দেখে একটি পণ্য কিনল।

এখন আপনার এই প্রচারের জন্য আমার কোম্পানির পণ্য বিক্রি হওয়ার কারণে আপনাকে আমার কোম্পানি কিছু কমিশন দিবে।এভাবে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বলা হয়।

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম  একটি পদ্ধতি। এফিলিয়েট মার্কেটিং এতো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল এটি শুরু করা খুব সহজ। Affiliate Marketing এর মাধ্যমে আয় করার জন্য কোনো ডিগ্রির, প্রশিক্ষণের কিংবা শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়না।

এছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার কোনো নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয় না। আপনি দিনের যেকোনো সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। Affiliate Marketing এ আয়ের পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কাজ করার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায়, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে হলে আপনার অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই আপনি সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কারা? যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদেরকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বলা হয়।

আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? – এ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ৩ প্রকার।

  1. Unattached Affiliate Marketing (আনএটাচড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং)
  2. Related Affiliate Marketing (রিলেটেড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং)
  3. Involved Affiliate Marketing (ইনভলভড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং)

1. Unattached Affiliate Marketing

Unattached Affiliate Marketing (আনএটাচড এফিলিয়েট মার্কেটিং) হল এমন এফিলিয়েট মার্কেটিং যেক্ষেত্রে এফিলিয়েট মার্কেটারের সাথে পণ্যের কোনো সম্পর্ক থাকে না। এটি হল পে-পার-ক্লিক মার্কেটিং সিস্টেম।

মূলত এক্ষেত্রে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। এ ধরনের আফিলিয়েট মার্কেটিং তুলনামুলক ভাবে সহজ।

2. Related Affiliate Marketing

Related Affiliate Marketing (রিলেটেড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং) এ এফিলিয়েট মার্কেটারের সাথে পণ্যের সরাসরি সম্পর্ক থাকে এবং মার্কেটার পণ্যটি নিজে ব্যবহার করে না।

Unattached Affiliate Marketing এর চেয়ে এটি বেশি নির্ভরযোগ্য। তবে মার্কেটার যেহেতু পণ্যটি নিজে ব্যবহার করে না সেহেতু এটি শতভাগ নির্ভরযোগ্য নয়।

3. Involved Affiliate Marketing

Involved Affiliate Marketing এর ক্ষেত্রে প্রচারকারী বা এফিলিয়েট মার্কেটার এবং পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালো সংযোগ স্থাপিত হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে যারা এফিলিয়েট মার্কেটার তারা কাস্টমারদের কাছে বলে যে তারা আগে কোনো এক সময় পন্যটি ব্যবহার করেছে অথবা বর্তমানে ব্যবহার করছে। আর এফিলিয়েট মার্কেটারদের এই মন্তব্যের ফলে তারা কাস্টমারদের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম – অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্মের প্রয়োজন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে। নিচে এর একটি তালিকা দেওয়া হল-

  1. Amazon associates
  2. GoDaddy, Namecheap affiliate program (Domain, Hosting Provider)
  3. eBay affiliate program (eCommerce site)
  4. ShareASale Affiliate program
  5. Shopify Affiliate program
  6. Rakuten Advertising
  7. CJ Affiliate program
  8. ClickBank Affiliate

আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025

বাংলাদেশের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম

  1. Daraz Affiliate program
  2. BDShop Affiliate program
  3. Putulhost Affiliate program
  4. Dianahost Affiliate program
  5. Alibaba.com Affiliate program

উপরে দেওয়া সাইটগুলোর মতো আরো অনেক এফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম আছে। আপনারা আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী শসেটি বাছাই করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব – অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? এই সম্পর্কে এখন আলোচনা করবো। চলুন আপনাদের সাথে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা যাক!
  1. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনার যে জিনিসটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো- একটি ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা ইন্সটাগ্রাম পেজ।
  2. এরপরে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে হবে, ইউটিউব চ্যানেল এর ক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে এবং ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম পেজ হলে আপনার শসেই পেজের ফলোয়ার বাড়াতে হবে। এবং এই ট্রাফিক বা সাবস্ক্রাইবার বা ফলোয়ারের মাধ্যমেই আপনি পণ্যের প্রচার করবেন।
  3. তারপরে আপনাকে একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে (যেমন- Amazon, ShareASale, BDShop, Daraz) জয়েন হতে হবে। এবং আপনাকে ওই প্লাটফর্মের প্রোডাক্টটি আপনার উক্ত পেজ বা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করতে হবে।
  4. আর এই প্রচারের জন্য আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে। এবং ওই লিংকই আপনাকে প্রচার করতে হবে।
  5. এরপরে কেউ যদি আপনার ওই এফিলিয়েট লিংকে ভিজিট করে এবং ওই পণ্যটি বা সেবাটি কিনে তাহলে আপনি ওই প্লাটফর্ম থেকে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন এবং এভাবেই আপনার ইনকাম হবে।
আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কী?

বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও এফিলিয়েট মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

২০২০ সালে গ্লোবাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিল্পের মূল্য ছিল ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা যায় ২০২৬ সালের মধ্যে এই শিল্পের মূল্য হবে ১৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। (সংগৃহীত)

উপরের পরিসংখ্যান থেকে বুঝতেই পারছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক বেশি উজ্জ্বল। আপনিও শুরু করে দিন আপনার যাত্রা!

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে মাসে একটি ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারছে। আবার কেউ কেউ ব্যর্থ হচ্ছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি-

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিড করার প্রয়োজন হয় না।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। অর্থাৎ আপনি যেকোনো সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
  • ব্লগ বা ইউটিউব ছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ঝুঁকি কম।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা

  • নতুনদের কাছে বিরক্তির বিষয় হতে পারে।
  • পণ্য বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত কোনো টাকা পাবেন না।
  • অনেক সময় আপনার এফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ।

আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে জড়িত কিছু প্রশ্ন

মোবাইল দিয়ে কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

জি, অবশ্যই আপনি মোবাইলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আমাদের সকলের কাছেই কমবেশি স্মার্টফোন আছে। আর আপনি চাইলে এই মোবাইল দিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

টাকা ছাড়া কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার কোনো টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। আপনি কোনো টাকা ছাড়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে আপনার পণ্যের প্রচারণার ক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন হতে পারে। প্রধানত এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য তেমন কোনো খরচ হয় না।

সবচেয়ে লাভজনক এবং বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কোনটি?

বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে এর মধ্যে যদি বিশেষ কয়েকটা এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কথা বলি তাহলে Amazon affiliate program, ShareASale affiliate program, Shopify affiliate program উল্লেখযোগ্য।

শেষকথা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায়। আমাদের দেশ এবং সারা বিশ্বে অনেকে এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে।

আজকের পোস্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় – এ সম্পর্কে বিস্তারিত ও পরিষ্কার ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি অনলাইনে আয় সম্পর্কিত আরো অনেক পোস্ট এই ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম সম্পর্কে কোনো বিষয় জানার থাকলে আপনি আমাদের সেই পোস্টগুলো দেখে আসতে পারেন।

যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়, কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং মাধ্যমে আয় করার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে কোনো বিষয় না বুঝতে পারেন বা কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে শীঘ্রই নিচে কমেন্ট করে জানান। আমরা খুব তাড়াতাড়ি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Blog Park Bangladesh এর সাথে থাকার জন্য।

Mohammad Saif Hasan

আমি সাইফ। BlogParkBD.com এর প্রতিষ্ঠাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button